জারণ বিজারণ বিক্রিয়া কাকে বলে? জারন-বিজারন এর পার্থক্য।

জারন বিজারণ এর পার্থক্য

জারণ - বিজারণ

জারণ (Oxidation): যে বিক্রিয়ায় ইলেকট্রন ত্যাগ করা হয়, সেই বিক্রিয়াকে জারণ বিক্রিয়া বলে।

বিজারণ (Reduction): যে বিক্রিয়াতে ইলেকট্রন গ্রহন করা হয়, তাকে বিজারন বিক্রিয়া বলে।

জারক:  জারক ইলেক্ট্রন গ্রহন করে অন্যের জারণ ঘটায়। অর্থাৎ জারক বিজারিত হয়।

বিজারক:  বিজারক ইলেক্ট্রন দান করে অন্যের বিজারণ ঘটায়। অর্থাৎ বিজারক জারিত হয়।

বিদ্রঃ মনে রাখতে হবে যে, শুধু জারণ কিংবা শুধু বিজারণ বিক্রিয়া ঘটেনা। জারণ-বিজারণ একসাথে ঘটে, যেহেতু কোনো মৌল ইলেকট্রন দান করলে, অবশ্যই তার গ্রহীতা থাকতে হবে। গ্রহীতা না থাকলে ভূতের মাকে তো আর ইলেকট্রন দিবেনা।


আমরা একটি মাত্র উদাহরণ থেকে খুব সহজে পুরো বিষয়টা বুঝবো,

উদাহরণ :
2Na + Cl₂ →2NaCl
আমরা জানি সোডিয়ামের শেষ কক্ষপথে থাকে ১টি ইলেক্ট্রন, ক্লোরিনের শেষ কক্ষপথে থাকে ৭টি ইলেক্ট্রন,
Na(11)→1s² 2s² 2p⁶ 3s¹ (2,8,1)
Cl(17)→1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁵ (2,8,7)

এখানে সোডিয়াম ক্লোরিনের সাথে বিক্রিয়া করে ক্লোরিনকে ১টি ইলেকট্রন দান করে, ক্লোরিন সেই ইলেকট্রন গ্রহন করে। সুতারাং এখানে জারন,বিজারণ বিক্রিয়া হয়েছে৷
আবার, যেহেতু ক্লোরিন একটি ইলেকট্রন গ্রহনের মাধ্যমে সোডিয়ামের জারন ঘটায় সুতারাং ক্লোরিন জারক, যদিও সে ইলেকট্রন গ্রহনের মাধ্যমে নিজে বিজারিত হয়েছে। 

অন্যের উপকার করে,নিজের ক্ষতি করা বিষয়টা কিছুটা সেরকম।
উল্টা ঘটনা ঘটেছে সোডিয়ামের বেলায়। ইলেকট্রন দানের মাধ্যমে সে অন্যের বিজারণ ঘটায়, এই হিসাবে সে বিজারক, ইলেকট্রন দানের মাধ্যমে নিজের ধনাত্মক চার্জ বৃদ্ধি করেছে সেই হিসাবে জারিত হয়েছে।
 

জারন বিজারনের ওভারভিউ
জারণ :
১. e- এর অপসারণ
২. ধনাত্মক চার্জ এর মান বাড়ে
৩. ঋণাত্মক চার্জ এর মান কমে

বিজারণ :
১. e- এর সংযোজন
২. ধনাত্মক চার্জ এর মান কমে
৩. ঋণাত্মক চার্জ এর মান বাড়ে
 

Post a Comment

0 Comments