সবচেয়ে বেশি প্রচলিত মাওদু বা জাল হাদিস
- জ্ঞান অর্জনের জন্য সুদূর চীন দেশে হলেও যাও।
- জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও বেশি পবিত্র।
- সুদ খাওয়ার ৭০ টি পর্যায় রয়েছে এর মধ্যে সবচেয়ে ছোট পর্যায়ের অপরাধ হচ্ছে মায়ের সাথে ব্যভিচার করা।
- মুহাম্মদ (সঃ) কে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ কোন কিছুই সৃষ্টি করতেন না।
- দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ।
- যারা মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দেয় তাদের জান্নাত নিশ্চিত।
- যে শুক্রবারে মুহাম্মদ (সঃ) নামে আসিবার দরুদ পাঠ করে তার 80 বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
- ইয়াসিন পাঠ করলে দশবার কোরআন শরীফ খতমের সওয়াব পাওয়া যায়।
- আমি জ্ঞানের শহর আলী তার দরজা।
অনেক্ষাকৃত কম প্রচলিত জাল হাদিস
- যে নিজেকে জেনেছে সে আল্লাহকেও জেনেছে।
- তোমাদের জন্য দুইটি উপশম কুরআন ও মধু।
- যদি আরবদের অধঃপতন হয় তবে ইসলামের ও অধঃপতন হবে
- যে কোরান শেখানোর জন্য পারিশ্রমিক নেয় সে কোন সওয়াব পায়না।
- বিয়ে করো তালাক দিওনা তালাক দিলে আল্লাহর আরশ কেঁপে ওঠে।
- মসজিদের মধ্যে কথপোকথন পুণ্যগুলোকে খেয়ে ফেলে যেমনভাবে চতুষ্পদ জন্তুগুলো ঘাস খেয়ে ফেলে।
- তিনি কঙ্কর (পাথর) দ্বারা তাসবীহ পাঠ করতেন।
- প্লেগ (উদরাময়) তোমাদের ভাই জ্বীনদের এক অংশ।
- খাতীব যখন মিম্বারে উঠে যাবে; তার পর সালাত (নামায/নামাজ)-ও নেই, কোন কথাও নেই
- তোমরা পশমী পোশাক গ্রহণ কর, তাহলে তোমরা তোমাদের হৃদয়ে ঈমানের মধুরতা পাবে। তোমরা পশমী পোশাক গ্রহণ কর, তাহলে স্বল্প খাদ্য প্রাপ্ত হবে। তোমরা পশমী পোশাক গ্রহণ কর; তাহলে তা দ্বারা তোমাদেরকে আখেরাতে চেনা যাবে। পশমী পোশাক হৃদয়ক
নির্ভরযোগ্যতা অনুসারে হাদিস চার প্রকারঃ
১. সাহিহ (নির্ভরযোগ্য) হাদিস – যেই হাদিসগুলো নবী করিম(সঃ) এর কাছ থেকে এসেছে—এর পক্ষে যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। “সাহিহ বুখারি” এবং “সাহিহ মুসলিম” দুটি প্রধান সাহিহ হাদিসের সংকলন।
২. দারুল ইফতা/ (ভালো) হাদিস:– যেই হাদিসগুলোর উৎস জানা আছে এবং কারা তা বর্ণনা করেছেন তা নিয়ে মতভেদ নেই। এধরনের হাদিস নিশ্চিতভাবে নবী করিম(সঃ) এর কাছ থেকে এসেছে বলে হাদিস বিশারদরা দাবি করেন না, তবে তা সমর্থন করেন। অনেক হাদিস বিশারদ এই হাদিসগুলোর উপর ভিত্তি করে শারিয়াহ তৈরি করা সমর্থন করেন।
৩. দা’ই’ফ (দুর্বল) হাদিস :– এই হাদিসগুলো নবী (সঃ)এর কাছ থেকে এসেছে বলে কোন নির্ভরযোগ্য প্রমাণ নেই এবং তাদের বর্ণনাকারীদের মধ্যে এক বা একাধিক ব্যক্তি আছেন, যাদের চরিত্র এবং ধর্মীয় বিশ্বাস বিতর্কিত।
৪. মাওদু (জাল) হাদিস:– সম্পূর্ণ বানোয়াট, মিথ্যা হাদিস। বর্ণনাকারীরা ঘোরতর মিথ্যাবাদী, চরম প্রতারক।
হাদিস কারা হাদিস জাল করে? জাল করার কারন?
প্রধানত নিজেদের সার্থ হাসিল ও নিজেদের সমাজের চোখে বড় করে দেখানোর জন্য হাদিস জাল করা হত।মুনাফিকরা এবং কাফিররা মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য মুসলিম ছদ্মবেশে জাল হাদিস প্রচার করতো।
আলেমদের মধ্যে যারা নিজেরা যত বেশি হাদিস সংগ্রহ করেছে বলে দাবি করতে পারতো, সে তত বেশি সন্মান পেত। তাই সন্মানের লোভে অনেক আলেম, পীর, দরবেশ মিথ্যা হাদিস প্রচার করে গেছে।
এছাড়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য অনেকেই হাদিস জাল করতো।
0 Comments