তড়িৎকোষ |
অ্যানোড ও ক্যাথোডের পার্থক্য
অ্যানোডঃ যে তড়িৎদ্বারে জারণ ঘটে, তাকে অ্যানোড বলে।
অর্থাৎ যে তড়িৎদ্বার ইলেকট্রন গ্রহন করে, কোনো মৌল/মূলক বা আয়নের জারণ ঘটায়, সেই তড়িৎদ্বারকে অ্যানোড বলে । কোন মৌল/মূলক বা আয়ন অ্যানোডে ইলেকট্রন ত্যাগ করে নিজে জারিত হয় বলে, অ্যানোডে জারণ ঘটে।
ক্যাথোডঃ যে তড়িৎদ্বারে বিজারণ ঘটে, তাকে ক্যাথোড বলে।
অর্থাৎ যে তড়িৎদ্বার ইলেকট্রন ত্যাগ করে, কোনো মৌল বা আয়নের বিজারণ ঘটায়, সেই তড়িৎদ্বারকে ক্যাথোড বলে। কোন মৌল ইলেকট্রন গ্রহন করে নিজে বিজারিত হয় বলে, ক্যাথোডে বিজারণ ঘটে।
বিদ্রঃ "অ্যানোড-ধনাত্বক", "ক্যাথোড-ঋণাত্মক" কিংবা "অ্যানোড ঋণাত্মক", "ক্যাথোড ধনাত্বক" এই ধারনা সম্পূর্ন ভুল। অবস্থাভেদে একই তড়িৎদ্বার ধনাত্বক কিংবা ঋণাত্মক হতে পারে।
একই তড়িৎদ্বার অবস্থাভেদে কখনো ধনাত্বক আবার কখনো ঋণাত্মক হতে পারে?

গ্যালভানিক/ড্রাইসেল
হ্যা, হতে পারে। যেমন "গ্যালভানিক কোষে" অ্যানোড ঋণাত্মক, কিন্তু "তড়িৎ বিশ্লেষ্য" কোষে অ্যানোড ধনাত্বক। গ্যালভানিক কোষে(ব্যাটারি) অ্যানোডে জারণ বিক্রিয়া থেকে প্রাপ্ত ইলেকট্রন থাকে বলে, অ্যানোড ঋণাত্মক।
কিন্তু তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষে অ্যানোডকে ব্যাটারির পজিটিভ প্রান্তের সাথে যুক্ত করা হয়, ফলে অ্যানোড তড়িৎদ্বার ধনাত্বক।
লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, অ্যানোড ধনাত্বক হক কিংবা ঋণাত্মক হক, উভয় ক্ষেত্রে অ্যানোডে জারন বিক্রিয়া সংঘটিত হয়।
0 Comments