মুক্তাক্ষর ও বদ্ধাক্ষর কাকে বলে
অক্ষরঃ এক প্রয়াসে উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টিকেই অক্ষর বলে।
যেমন, "আমরা" বলতে গেলে প্রথম প্রয়াসে “আম” পরের প্রয়াসে “রা” বলি। সুতারাং “আমরা” তে দুটো অক্ষর "আম+রা” আছে। অক্ষরকে ইংরেজিতে syllable বলে।
বিদ্রঃ বর্ণ এবং অক্ষর এক জিনিস নয়।
মুক্তাক্ষরঃ যে অক্ষর উচ্চারনে বাতাস বাধাপ্রাপ্ত হয়না বা শ্বাসরুদ্ধ হয়না তাকে মুক্তাক্ষর বলে। মুক্তাক্ষরকে টেনে পড়া যায়।
যেমনঃ "তুমি, আমি" এই দুটো শব্দেই দুটো করে মুক্তাক্ষর আছে।
তুমি=তু(১)+মি(১)=২টি মুক্তাক্ষর । আমি=আ(১)+মি(১)=২টি মুক্তাক্ষর।
এদের অক্ষরগুলো আলাদা করে টেনে পড়লেও উচ্চারন একই শোনায়।
বদ্ধাক্ষরঃ যে অক্ষর উচ্চারনে বাতাস বাধাপ্রাপ্ত হয় বা শ্বাসরুদ্ধ হয় তাকে বদ্ধাক্ষর বলে। বদ্ধাক্ষরকে টেনে পড়া যায় না।
মুক্তাক্ষর ও
বদ্ধাক্ষর চেনার
উপায়ঃ
নিচের উদাহরণ লক্ষ্য করি,
বই,মই। এই দুটো শব্দেই একটি করে বদ্ধাক্ষর আছে। যদিও ব এবং ই আলাদাভাবে উচ্চারণ করলে দুটো অক্ষর পাওয়া যায় কিন্তু বই উচ্চারণ করতে একটা অক্ষর পাওয়া যায়। কারন বই এর দুটো বর্ণ আলাদাভাবে টেনে উচ্চারণ করলে উচ্চারণ দাঁড়ায় ব+য়ি(বয়ি) যেটা বই উচ্চারণ থেকে আলাদা। তাই এদের অক্ষরগুলো আলাদা করে টেনে পড়া যায়না। যার ফলে দুটো বর্ণ মিলে হয় এক অক্ষর।
কবিতায় মাত্রা নির্ণয়ঃ
কবিতায় প্রধানত তিনটি ছন্দ আছে, স্বরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত ও অক্ষরবৃত্ত।
স্বরবৃত্ত ছন্দে= মুক্তাক্ষর(একমাত্রা)+বদ্ধাক্ষর(একমাত্রা)
মাত্রাবৃত্ত ছন্দে= মুক্তাক্ষর(একমাত্রা)+বদ্ধাক্ষর(দুইমাত্রা)
অক্ষরবৃত্ত ছন্দে= মুক্তাক্ষর(একমাত্রা)+বদ্ধাক্ষর মাঝে থাকলে(একমাত্রা)+বদ্ধাক্ষর শেষে থাকলে(দুইমাত্রা)।
আরো পড়ুন... স্বরবৃত্ত মাত্রাবৃত্ত অক্ষরবৃত্ত কাকে বলে?
0 Comments