E=mc2 ব্যাখা এবং প্রতিপাদন?
এই সুত্রদ্বারা
বোঝা যায়, ভর ও শক্তি মুদ্রার এপিট-ওপিট।
খুব সহজ কথায় বললে, ভর ও শক্তি একটি আরেকটির সমতুল্য বা অন্যরুপ।
এখানে,
E(energy) = শক্তি
M(mass) = ভর
C(Light-vilocity) = আলোর বেগ = 3×10^8 (মি./সে.)
E=mc2 এর ব্যাখা
আইনস্টাইনের বিখ্যাত E=mc^2 সূত্র দ্বারা, শক্তি ও ভর যে সমতুল্য/অভিন্ন সেটা
বোঝা যায়। এই সূত্র অনুসারে m ভরের কোন বস্তুতে সঞ্চিত শক্তির পরিমাণ ঐ ভরের সাথে আলোর
বেগ(c) এর বর্গের গুনফল এর সমান।
অর্থাৎ ১ কেজি ভরের কোন বস্তুতে
সঞ্চিত শক্তির পরিমাণ হবে, E= 1× (3 × 10^8)^2 = 90000000000000000 J (জুল)।
অর্থাৎ ১কেজি ভরের বস্তুকে
সম্পূর্ন শক্তিতে রুপান্তর করলে যে শক্তি পাওয়া যাবে তা দিয়ে বাংলাদেশের প্রায় ২ বছরের
বিদ্যুৎ এর চাহিদা মিটে যাবে। পারবমানবিক বোমার ম্যাকানিজম এই সুত্র। পারমানবিক বোমায়
ভরকে যতটা সম্ভব পারা যায় শক্তিতে রুপান্তর
করা হয়। যার ফলে এতো বিশাল শক্তি পাওয়া যায়।
E=mc^2 সুত্রের প্রতিপাদনঃ
আইনস্টাইনের এই সুত্র বিভিন্নভাবে প্রতিপাদন করা যায়, মুল নিয়মে প্রতিপাদন করতে গেলে কিছুটা মাথার উপর দিয়ে যেতে পারে । তাই এখানে খুব সহজ একটা প্রতিপাদন দেওয়া হল। পরিষ্কার ইমেজ দেখতে ইমেজের উপর ক্লিক করুন।
![]() |
সারাংশঃ
আইনস্টাইনের এই E=mc^2 সমীকরণটি শক্তির সাথে ভরের
একটি মজাদার সম্পর্ক নির্দেশ করে। এটি থেকে বোঝা যায়, শক্তি এবং ভর আসলে একই মুদ্রার
এপিঠ-ওপিঠ। ভর থেকে যেমন শক্তি পাওয়া যায় তেমনি শক্তি থেকেও ভর পাওয়া যেতে পারে।
অর্থাৎ শক্তি এবং ভর একে-অপরের সমতুল্য।
1 Comments
wonderful and simple
ReplyDelete